পোলবায় ধরা পড়লো বাঘরোল , চাঞ্চল‍্য এলাকায়

7th February 2020 হুগলী
পোলবায় ধরা পড়লো বাঘরোল , চাঞ্চল‍্য এলাকায়


গত কয়েকদিন ধরেই পোলবার জারুরা গ্রামের গৃহস্থের হাঁস-মুরগি গায়েব হয়ে যাচ্ছিল।আর তা করছিলো অজানা কোনো প্রাণী,ঘুম ছুটেছিল গোটা গ্রামের,সঙ্গে ছিলো আতঙ্ক ।কি প্রাণী চোখে না দেখলেও তাকে ধরতে খাঁচা পেতেছিলেন গ্রামবাসীরা,আর তাতেই ধরা পরলো একটি বাঘরোল।স্বস্তি ফিরল গ্রামে।খাঁচাবন্দি বাগরোল দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমান আশেপাশের এলাকার মানুষজন।খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে।প্রাণীটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তার জন্য খবর পেয়েই পোলবা থানার পুলিশ হাজির হয় গ্রামে।গত কয়েকদিন আগে কোন্নগরে একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাঘরোল হেঁটে যেতে দেখা যায় আর তা থেকে বাঘের ভ্রম হয়।রিষড়া বাগখাল এলাকাতেও দূর্ঘটনায় একটি বাঘরোলের মৃত্যু হয়েছিলো,আর তা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিভ্রান্তি ছড়ায়।বন দপ্তর থেকে জানানো হয় হুগলির এই সব এলাকায় ফিসিং ক্যাট বা বাঘরোল থাকে।যারা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।দিন দিন এই প্রাণীর সংখ্যা কমছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।